১৯৭৩ সালে, জলের গুণমান উন্নয়নের প্রকল্প হিসেবে, জু প্লাঙ্কটন (zooplankton) এবং ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে, আমেরিকান মৎস্য অধিদপ্তর সিলভার কার্প এবং বিগহেড (bighead) এর উৎপাদন শুরু করেছিলো। এ কাজে তারা প্রত্যাশার চেয়েও সফল হয়েছিলো। এদের উৎপাদন ছড়িয়ে পড়েছিলো সারা দেশের খালে বিলে। যেহেতু তাদের খাদ্যতালিকায় কেবল প্ল্যাঙ্কটন আর প্ল্যাংকটন, তাই এই কার্পগুলো মলাস্কার মতো অন্যান্য স্থানীয় প্ল্যাঙ্কটন-খাদকদের সাথে আর ছোট মাছের সাথে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়।
শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতার কারণে, পানি থেকে লাফ মেরে উঠে আসার জন্য সিলভার কার্প বেশ কুখ্যাত। নৌপথের যাত্রী আর জেলেদের জন্য ব্যাপারটা বিপৎজনক কথা সত্য! কিন্তু, মাছ শিকারে গেলে এর চেয়ে সহজ অভিযান আর হয় না।
ল্যান্ডার্স এর মতে, “এটা আমার ধরা সবচেয়ে সহজ মাছ। কিন্তু, এই ব্যাটা একলা ছিলো না। আরো এক ডজন মাছ অতি উৎসাহী হয়ে, নিজ থেকেই লাফ দিয়ে নৌকায় উঠে এসেছিলো”।
খাবার অযোগ্য বলে সিলভার কার্পের খ্যাতি আছে। যদিও এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই। তার আত্মীয়, কমন কার্প, কাঁটার জন্য, এবং বর্জ্য-খাদক হিসেবে পরিচিতির জন্যে, অখাদ্য হিসেবে মোটামুটি পুরো উত্তর আমেরিকা জুড়ে পরিচিত। তবে সিলভার কার্প কমন কার্পের মতো নয়। এটি খাদ্যের জন্যে প্ল্যাঙ্কটনের ওপর নির্ভরশীল। এজন্য, এর মাংসে চর্বি আর পারদ, দুটোই কম। এর সাঁটালো সাদা মাংসের স্বাদের সাথে অনেকে আটলান্টিক কডমাছ বা তেলাপিয়ার সাথে তুলনা করেন। সিলভার কার্প খেতে উৎসাহিত করার জন্য, একে সিলভারফিন (Silverfin) বা “কেনটাকি টুনা” নামকরণ করা হয়েছে। এদের গড় ওজন ১৩ থেকে ৩০ পাউন্ড, কিন্তু ৫০ পাউন্ডের বেশিও হতে পারে। এই মাছ ধরা সহজ, আকারে বড়, উৎপাদন করা যায় প্রচুর পরিমাণে, স্বাদে ভাল – সব মিলিয়ে, শিকারে যাওয়ার জন্য চমৎকার একটা মাছ!
সিলভার কার্প সংগ্রহ করলে অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এবং সিলভার কার্প এর সংখ্যা কমবে। ফলে, আশা করা যায়, স্থানীয় মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। পরের বার যখন মাছ ধরতে যাবেন, অথবা দৈনন্দিন কেনাকাটা করতে যাবেন, Silverfin কিনে নিয়ে আসুন, অবাক হবেন নিঃসন্দেহে।