মীর তাফহীম মাহমুদ

১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ১২:০০


বিভাগ: জোতির্বিদ্যা

পড়ার সময়: ১ মিনিট


কসমিক রেডিয়েশন বা মহাজাগতিক রশ্মি কী?


মহাজাগতিক রশ্মি হলো অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার স্রোত। বহির্বিশ্ব থেকে ওই সব কণা এসে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে। কণার ওই বারিবর্ষণ এক অবিশ্রান্ত প্রক্রিয়া। মহাজাগতিক রশ্মিতে থাকে শতকরা ৮৯ ভাগ প্রোটন, ৯ ভাগ বিকিরণ এবং ২ ভাগ থাকে কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও লোহার ভারি নিউক্লিয়াস। এগুলোই হলো প্রাইমারি মহাজাগতিক রশ্মি। প্রায় আলোর বেগেই ওরা ছুটে চলে।

মহাকশে রয়েছে উচ্চশক্তি সম্পন্ন কণার প্রবাহ এবং ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন। যাদের মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রন, প্রোটন, আলফা কণা, আলোর নিউক্লিয়ার এবং গামা রশ্মি। এদের একত্রে বলা হয় কসমিক রেডিয়েশন। এদের কিছু উৎপন্ন হয় পালসার এবং সুপারনোভা বিস্ফোরণ থেকে আর কিছু উতপন্ন হয় কোনো কোনো গ্যালাক্সি হতে নির্গত জেট গ্যাস দ্বারা।

অন্যভাবে বলা যায়, মহাজাগতিক রশ্মি হলো অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার স্রোত। বহির্বিশ্ব থেকে ওই সব কণা এসে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে। কণার ওই বারিবর্ষণ এক অবিশ্রান্ত প্রক্রিয়া। মহাজাগতিক রশ্মিতে থাকে শতকরা ৮৯ ভাগ প্রোটন, ৯ ভাগ বিকিরণ এবং ২ ভাগ থাকে কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও লোহার ভারি নিউক্লিয়াস। এগুলোই হলো প্রাইমারি মহাজাগতিক রশ্মি। প্রায় আলোর বেগেই ওরা ছুটে চলে।

প্রাইমারি মহাজাগতিক রশ্মির ওই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার যখন বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন পদার্থের নিউক্লিয়াসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তখন নতুন কণার সৃষ্টি হয়। নতুন কণাদের তখন বলা হয় সেকেন্ডারি মহাজাগতিক রশ্মি। সেকেন্ডারি মহাজাগতিক রশ্মির কণারাও প্রচণ্ড বেগে ছুটে চলে। অন্যান্য পরমাণুর সঙ্গে ওদের আবার সংঘর্ষ হয় এবং আবার নতুন পদার্থ কণা ওরা সৃষ্টি করে। চলার পথে বহুবার সংঘর্ষ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পৃথিবী পৃষ্ঠে সেকেন্ডারি মহাজাগতিক রশ্মির খুব কম সংখ্যক কণারাই এসে পৌঁছতে পারে। সেকেন্ডারি মহাজাগতিক রশ্মিতে থাকে প্রধানত পজিট্রন, নিউট্রন, মেসন, নিউট্রিনো প্রভৃতি। এ সব কণাদের বলা হয় প্রাথমিক বা মৌলিক কণা।

বিশ্বাস করা হয় যে অধিকাংশ মহাজাগতিক রশ্মির সৃষ্টি আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের বাইরে মহাশূন্যে ছায়াপথের নানা তারায়। মহাজাগতিক রশ্মির উৎস সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে। মহাজাগতিক রশ্মির সামান্য পরিমাণ বিকিরণ পৃথিবীর কোনো ক্ষতি করার জন্য যথেষ্ট নয়। কোটি কোটি বছর ধরে এই রশ্মি পৃথিবীকে আঘাত করে আসছে। কিন্তু তাতে পৃথিবীর প্রাণীর খুব কম ক্ষতিই সাধিত হয়েছে।