বিচিত্র এই পৃথিবী। আর তার সঙ্গে বিচিত্র এই জীবজগৎ। আমরা ডাঙার প্রাণি। জানা আছে যে পৃথিবীর স্থলের চাইতে জলের পরিমাণই বেশি। সেই বিপুল জলরাশির কতটুকু জানি আমরা? কতটুকু আমাদের আয়ত্বে এসেছে? আজকে চলুন পানির রহস্যময় কিছু তথ্য জেনে নিই-
১) এখনো অনেক কিছুই অজানা:
যদিও সমগ্র পৃথিবীর প্রায় ৭০ ভাগ পানি দিয়ে আবৃত। তবুও বিজ্ঞানীদের কাছে এই বিপুল জলরাশির অনেক কিছুই এখনো অজানা। জানেন কি? চন্দ্রপৃষ্ঠের চাইতে মানুষ সমুদ্রের তলদেশ সম্পর্কে কম জানে? ১২ জন মানুষ এখন পর্যন্ত চন্দ্রপৃষ্ঠে পা রেখেছেন। কিন্তু মারিয়ানা ট্রেঞ্চে এখন পর্যন্ত যেতে পেরেছেন মাত্র তিনজন। এটি সমুদ্রের সবচাইতে গভীরতম অংশ। প্রায় ১১ কিলোমিটার গভীর।
২) রহস্যময় জীবন ঘোরে সেখানে:
যদিও পৃথিবীর ৯৪ শতাংশ প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে পানিতে, দুই-ত্রিতীয়াংশ সামুদ্রিক জীবদের সম্পর্কে তথ্য এখনো অজানাই রয়ে গেছে। নতুন নতুন প্রজাতির দেখা মিলছে হামেশাই, যা নতুন নতুন প্রশ্নের উত্থাপন করছে। এই যেমন কিছুদিন আগেও একটি সামুদ্রিক ড্রাগন মাছের প্রজাতির সন্ধান মিলেছে অস্ট্রেলিয়ায়। এছাড়াও আরো নতুন দুটি প্রজাতির দেখা মিলেছে সমুদ্রের অতলে। ধারণা করা হচ্ছে যে একটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে কুৎসিত মাছ। আরেকটি মাছের মাথা ঈষৎ আলোয় আলোকিত হতে থাকে।
৩) গভীর থেকে শোনা যায় ভুতুড়ে আওয়াজ:
কেবলমাত্র জীব ও লতাগুল্মই নয়, সমুদ্রের গভীর থেকে এমন সব ভুতুড়ে আওয়াজ সোনার মেশিনে (শব্দ নিরুপণ যন্ত্র) ধরা পড়ে, যার সঠিক হদিস এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা।
The Bloop হচ্ছে এ যাবতকালের সবচাইতে বিখ্যাত গভীরের ডাক যা শোনা গিয়েছিল ১৯৯৭ সালে NOAA এর হাইড্রোফোনে। এটা হচ্ছে সমুদ্রের গভীর থেকে প্রাপ্ত অন্যতম তীব্র আওয়াজ যা এখন পর্যন্ত ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে এই শব্দটি বরফের চাই ভাঙার শব্দ হতে পারে কিন্তু এ সম্পর্কেও নানা দ্বিমত রয়েছে।
কারণ এই “ব্লুপ” শব্দটি সামুদ্রিক প্রাণির আওয়াজের সাথেই বেশি মেলে। বরফের চাই ভাঙার শব্দের সাথে না। বিজ্ঞানীরা যেটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সন্দিহান হয়ে পড়েছেন সেটি হচ্ছে এতবড় গুরুগম্ভীর আওয়াজ কোনো ছোট প্রাণী করতে পারে না। অবশ্যই এটি বড় কোনো প্রাণির!