বিভিন্ন গবেষণাতেই বের হয়েছে যে, নারীদেহে ফিশ অয়েলের উপকারিতা অনেক। ২০-৩০ বছর অথবা মধ্যবয়সী সব নারীই ফিশ অয়েল ক্যাপসুল খেতে পারেন এবং প্রতিদিন ব্যবহারে শারীরিকভাবে অনেক উপকারিতা লাভ করতে পারেন। চলুন জেনে নিই ফিশ অয়েলের উপকারিতা সম্পর্কে-
স্তন ক্যান্সার রোধ করে: দৈনিক ওমেগা-৩ ফিশ অয়েল সেবন করলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৫০% কমে যায়। ওমেগা-৩ ও ডিএইচএ-৩-তে প্রাকৃতিকভাবেই অ্যান্টি-প্রদাহজনক পদার্থ আছে, যা ক্যান্সারের কোষ তৈরিতে বাধা প্রদান করে এবং তা শরীর থেকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
সুস্থ ভ্রূণ উৎপাদনে সহায়তা করে: নারীর গর্ভধারণ সময়ে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এটি সন্তান ও মায়ের মধ্যে অক্সিজেন ও পুষ্টি বিনিময় করতে সহায়তা করে।
শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে: শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশের জন্য প্রচুর ডিএইচএ ওমেগা-৩-এর প্রয়োজন হয়। যদি কোনো গর্ভবতী নারী যথেষ্ট পরিমাণে ডিএইচএ সেবন না করেন তখন মায়ের মস্তিষ্ক থেকে শিশুরা ডিএইচএ পেয়ে থাকে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, একজন নারী সন্তান জন্মদানের পর তিনি তাদের মস্তিষ্কের ৩% কোষ হারাতে পারেন।
হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে: গর্ভকালে অনেক নারীরই হাই ব্লাড প্রেসার থাকে যা গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর। তাই এ সময় ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং সুস্থ সন্তান জন্মদানে ওমেগা-৩-এর উপকারিতা অনেক।
সঠিক তারিখে সন্তান প্রসব: ওমেগা-৩ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে প্রসবের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং সন্তান সুস্থ ও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত কিনা তা নিশ্চিত করে।
সন্তান প্রসবের সময়ের বিষণ্ণতা প্রতিরোধ করে: ক্লিনিক্যাল গবেষণায় বলা হয়েছে, একজন নারী সন্তান জন্মদানের পর যদি ওমেগা-৩ সেবন করেন তাহলে তার প্রসবকালীন বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
সঠিক বয়সে মেনোপজ (মিন্সট্রেশন বন্ধ হওয়া): মেনোপজ একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে আসার ঘটনা ঘটে। ফিশ অয়েল প্রতিদিন নারীর শরীরের হরমোনের ভারসাম্য উন্নত করতে সহায়তা করে এবং মেনোপজ উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে।
অস্টিওপোরোসিস রোগ সারাতে: অস্টিওপোরোসিস সাধারণত হাড়ক্ষয় রোগ। নারীর মেনোপজের পর এ রোগটি দেখা দেয়। কিন্তু ফিশ অয়েলের ফ্যাটি এসিড অস্টিওপোরোসিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে: হৃদরোগ এমন একটি রোগ যা নারীর হলে মৃতু্র আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি এবং অন্য যে কোনো রোগ যেমন স্তন ক্যান্সার থেকেও হৃদরোগ খুব ক্ষতিকর। কিন্তু ইপিএ ও ডিএইচএ ওমেগা-৩ হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে এবং নিম্ন রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগি সেরাইড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।