ধরুন আপনার কম্পিউটার এ এমন একটি প্রোগ্রাম আছে, যার কাজ হচ্ছে আপনি প্রতিদিন কি বোর্ডে যে সমস্ত বাটন গুলো চাপছেন, তার পুরোটার তালিকা করে আপনার অজান্তে আরেকজনের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আপনি সারাদিন, কয়েকবার আপনার ইমেইল এ লগিন করছেন, অনলাইন ব্যাংকিং করছেন, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যাচ্ছেন, আপনার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কোনো কিছু কিনছেন, কিংবা আরো অনেক কিছু। এই সমস্ত তথ্য গুলো যখন আপনি আপনার কিবোর্ড দিয়ে দিচ্ছেন, ঠিক তখনই পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে থাকা একজন সব কিছু পেয়ে যাচ্ছে…… এখন নিশ্চই বুঝতে পারছেন, আমি কি লগারের (Key logger) কথা বলছি।
আমি খুব বেশি অ্যান্টিভাইরাস (বিভিন্ন ধরনের) ব্যবহার করি নাই। তাই ঠিক বলতে পারছি না অন্য কেউ এটি থেকে সুরক্ষার সুবিধা দেয় কি না। কিন্তু ক্যাসপারস্কাই ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১১ (ক্যাসপারস্কাই ইন্টারনেট সিকিউরিটি ২০১০ তেও এই সুবিধা আছে) তে আমি দেখেছি তারা ভার্চুয়াল কিবোর্ড নামের একটি মডিউল দিয়েছে। বিশ্বাস করুন, এটা দিয়ে লিখা খুবই কষ্টের একটা কাজ।
আপনার এ ধরনের কষ্টের সমধান করার জন্য QFX Software নিয়ে এসেছে কি-স্ক্রেমব্লার (Key Scrambler)। চলুন দেখি কিভাবে এটা কাজ করে-
কি-স্ক্রেমব্লার কিভাবে কাজ করে দেখার আগে, চলুন কিছু কিপয়েন্ট জানা যাক:
গুরুত্বপূর্ণ পথ: যাখন আপনি, আপনার কিবোর্ড দিয়ে কিছু টাইপ করেন, সেই কি-গুলো অপারেটিং সিস্টেম এর মধ্যে দিয়ে তার নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশান এ পৌছে। (ধরুন আপনি আপনার নাম এবং পাসওয়ার্ড মজিলা ফায়ারফক্স এ দিচ্ছেন)।
কি-লগার: কি-লগার হচ্ছে এক প্রকার মেল ওয়্যার যা সাইবার ক্রিমিনালেরা তৈরি করে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করার জন্য, ঠিক যখন আপনার কি-বোর্ড দিয়ে আপনি কিছু টাইপ করেন। কি-লগার আপনার তথ্য চুরি করে ঠিক সেগুলো নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশান এ পৌঁছাবার আগেই।
এখন আসুন দেখা যাক, কিভাবে ক- স্ক্রেমব্লার কাজ করে-
যাখনি আপনি কিবোর্ড এর কোন কী চাপেন, কারনেলের গভীরে কি-স্ক্রেমব্লার সফটওয়্যারটি তা এনক্রিপ্ট করে ফেলে।
এরপরে আপনার কি- যখন তার ডেস্টিনেশন অ্যাপ্লিকেশান টিতে পৌঁছে তখন আবার কি-স্ক্রেমব্লার তাকে ডিক্রিপ্ট করে ফেলে, যেন আপনি কি কী দিয়েছেন, তা আপনাকে দেখাতে পারে।