Sammo

৩০ নভেম্বর ২০১৫ ১২:০০


বিভাগ: পদার্থবিদ্যা

পড়ার সময়: ১ মিনিট


পৃথিবী আরো জোরে ঘুরলে কী হতো?


ধরা যাক গোলাকার একটা গ্লোবের উপর একটি পিঁপড়া হাটছে। গ্লোবটাকে জোরে ঘোরাতে শুরু করলাম। একসময় দেখা যাবে পিঁপড়াটি ছিটকে পড়েছে। এর কারণ হলো ঘূর্ণনের জন্য কেন্দ্রাতিগ বা কেন্দ্রবিমুখ (সেন্ট্রিফিউগাল) শক্তির উদ্ভব হয়, যা পিপড়াকে গোলাকার গ্লোবের স্পর্শক বরাবর বাইরের দিকে ঠেলে দেয়। পৃথিবীও ঘুরছে। প্রায় চব্বিশ ঘণ্টায় সে নিজ অক্ষের চারদিকে একবার ঘুরে আসে। এই ঘূর্ণন গতি সেকেন্ডে প্রায় ১৮ মাইল । এটা কম নয়। কিন্তু এত জোরে যে ঘুরপাক খাচ্ছি সেটা আমরা বুঝতেই পারি না। 

কারণ হলো পৃথিবীর প্রবল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আমাদের শক্তভাবে টেনে ধরে রাখে। তাই আমরা নিরাপদে পৃথিবীতে শুয়ে-বসে দিন কাটাতে পারছি। কিন্তু যদি পৃথিবী আরো জোরে ঘুরত তাহলে কী হতো? প্রশ্নটা বেশ জটিল । ঘূর্ণনগতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর কেন্দ্রাতিগ শক্তি বাড়ত এবং এর ফলে একসময় পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিজনিত ত্বরণের সমান ও বিপরীত ত্বরণের উদ্ভব ঘটত।

পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ সূত্র ব্যবহার করে এই ঘূর্ণনগতি বের করা যায়। সে হিসেবে বলা যায় পৃথিবী যদি আরো জোরে ঘুরে ১ ঘণ্টা ২৪ মিনিটে নিজ অক্ষরেখার চারদিকে একবার ঘুরে আসত অর্থাৎ পৃথিবীর ঘূর্ণন বেগ যদি প্রায় ২০ গুণ বেশি হতো তাহলে মাধ্যাকর্ষণ বল অকার্যকর হয়ে যেত। সেক্ষেত্রে ভূপৃষ্ঠের সকল বস্তু, মানুষজন ওজনহীন হয়ে পড়ত। এর চেয়েও বেশি জারে ঘুরলে ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই মহাশূন্যে ছিটকে পড়ত, গ্লোবের সেই পিপড়ার মতোই। 

তথ্য সূত্র;