Adib Akhand

৩০ নভেম্বর ২০১৫ ১২:০০


বিভাগ: শিক্ষা

পড়ার সময়: ২ মিনিট


পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা


শুধু বিজ্ঞান নিয়েই যে গবেষণা করতে হবে এমন নয়। যে অর্থনীতির ছাত্র সে অর্থনীতি বিষয়ে, যে স্পোর্টস পছন্দ করে সে স্পোর্টস নিয়ে, যার সাহিত্যের প্রতি অসীম আগ্রহ সে সাহিত্য নিয়ে, যার ভাষা ভালো লাগে সে ভাষা নিয়ে গবেষণা করবে।

''গবেষণা, সে আবার কি? কি লাভ গবেষণা করে সময় নষ্ট করার? তার থেকে ভালো মুখস্ত করে জিপিএ-৫ আর গোল্ডেন পাওয়া। অন্তত পক্ষে লাখ টাকার বেতনের একটা চাকরি পাব।''

যাদের মস্তিষ্কের মধ্যে উপরোক্ত চিন্তা ভাবনা ঘুরে বেড়ায় তার মতো গণ্ডমূর্খ পৃথিবী কেনো, সারা মহাবিশ্বে নাই। অথচ, আজ আমরা টিকে আছি তো এই গবেষণার বদৌলতে। যদি গবেষণা না হত তাহলে এতো এতো উদ্ভাবনের কিছুই সম্ভব হত না। পৃথিবীতে যত আবিষ্কার তার সবকিছুর পেছনে যে শব্দটার সবচেয়ে বেশি অবদান সেটা হচ্ছে 'গবেষণা'।

টেলিস্কোপ, রোবট, কম্পিউটার, ক্যালকুলেটর, ইন্টারনেট, বিভিন্ন কঠিন রোগের প্রতিশোধক ঔষধ -- এসব কিছু সবই গবেষণার ফলাফল। পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সমীকরণ E=mc^2 আবিষ্কৃত হয়েছে আইনস্টাইনের গবেষণায়। সবকিছু খালি চোখে দেখলেই বোঝা যায় যে যে দেশে যত বেশি গবেষণাগার আছে ও যত বেশি গবেষণা হয় সে দেশ তত বেশি উন্নতি সাধন করছে।

ব্যক্তি হিসেবে পর্যবেক্ষণ করতে গেলেও উদহারণ প্রচুর রয়েছে। আমরা কি জানি বর্তমান বিশ্বকে বদলে দেওয়া ১০০ ব্যক্তির মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম নোবেল বিজয়ী স্যার ড. মুহাম্মদ ইউনুস আছেন। ওনার আজ এই পজিশনে থাকার কারণ হচ্ছে তার আবিষ্কৃত 'গ্রামীণ ব্যবস্থা বা গ্রামীণ ব্যাংক' দ্বারা। তিনি এটি করেছিলেন গবেষণার মাধ্যমে। যা আজ সারা বিশ্ব অনুসরণ করে। তাইতো গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। ছাত্রজীবনে গবেষণা মানে হচ্ছে চরম পর্যায় যাওয়া। এই গবেষণা গোল্ডেন কিংবা জিপিএ-৫ হতে অতি উত্তম ও বেশি সম্মানীয়। তাই বলে যে পড়াশোনাটা বন্ধ থাকবে তা নয়। পড়াশোনা থাকবে পাশাপাশি গবেষণাও চলবে। এইজন্য আমরা বই পড়তে পারি কিংবা ম্যাগাজিন। এতে করে কি নিয়ে গবেষণা করব তা খুঁজে পাওয়া যাবে। আর গবেষণা মানেই হচ্ছে প্রশ্ন করা। সাধারণত প্রশ্ন থেকেই গবেষণা, গবেষণা থেকে উদ্ভাবন। সমীকরণটি ঠিক এরকম ---- প্রশ্ন > কৌতুহল > গবেষণা > উদ্ভাবন :) :) :) প্রশ্নটা হতে পারে যে কোনো রকমের, আবল তাবল হলেও সমস্যা নেই। কেননা এরকম প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই হয়তো পৃথিবীটা বদলে যাবে। ......যেমন একসময় টাইম ট্রাভেলের কনসেপ্ট কিংবা মাল্টিভার্সের কনসেপ্ট নিয়ে গবেষণাকারীকে নিতান্তই পাগল মনে করা হত। তখন এগুলো ছিল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখকদের বিষয়বস্তু। কিন্তু এখন জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানীদের গবেষণার মুল বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে এই কনসেপ্টগুলো প্রুভ কিংবা ডিসপ্রুভ করাটা। ।।।।।।তাহলে এর মানে হচ্ছে যত বেশি প্রশ্ন তত বেশি গবেষণা।।।।। """""""" পৃথিবীতে যত আবিষ্কার রয়েছে সবকিছু উপরে রয়েছে এই গবেষণা।

গবেষণা করতে হলে যে ল্যাবরেটরি প্রয়োজন- এর কোন মানে নেই। আসলে টেবিলের উপর একটি খাতা একটি কলম দিয়ে যেমনি গবেষণা করা যায়, ঠিক তেমনি শুধু চিন্তা-ভাবনা করেও গবেষণা করা যায়। শুধু চিন্তা ভাবনা গুলোকে নোট করে রাখলেই চলে। আসলে এগুলো ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভরশীল""""""......। :) :) ......

কি নিয়ে গবেষণা করব? এই বিষয় নিয়ে মাথা ব্যাথার কোন কারণ নেই। যদি থাকে এক্ষুণি ঝেড়ে ফেলে দেও। শুধু বিজ্ঞান নিয়েই যে গবেষণা করতে হবে এমন কথা নাই। যদি কেউ অর্থনীতির ছাত্র বা ঐ টাইপের বিষয় পছন্দ কর তাহলে ঐসব বিষয়ের উপর গবেষণা চালিয়ে যাও। কেউ যদি স্পোর্টস পছন্দ কর তাহলে স্পোর্টস নিয়ে রিসার্চ কর। যার সাহিত্যের প্রতি অসীম আগ্রহ সে সাহিত্য নিয়েই গবেষণা চালাবে।........ আর যার মাতৃভাষা নিয়ে গবেষণা করতে ইচ্ছুক সে মাতৃভাষা বাংলা নিয়েই গবেষণা করবে। :) :) অতএব বর্তমান বিশ্বে চলতে গেলেই গবেষণা করতে হবে। আমার পিতা মাতা বড় গবেষক কিংবা আমার বন্ধু আবিষ্কারক সেই ক্রেডিট আমি নিতে যাবো কেনো? আমি নিজের ক্রেডিট নিজে তৈরি করব। আর এই জন্যেই গবেষণা।