অনেক সময়ই তো আমরা মনের ভুলে বাসার ফ্যান, লাইট চালু রেখে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি বা অফিসে চলে যাই। এতে কত মূল্যবান বিদ্যুৎ অপচয় হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে বিদ্যুতের অভাব সেখানে এরকম অপচয় কোনোভাবেই মানা যায় না।
অপচয়ের দিন শেষ, অটোম্যাটিক বাংলাদেশ! হ্যাঁ, সত্যি! বাসা থেকে বের হয়েছো তো সাথে সাথে লাইট, ফ্যান নিজেই অফ। বাসায় ফিরলেই আবার অনুগত চাকরের মত নিজেই চালু। শুধু বাসা নয়, অফিস বা কনফারেন্স রুমেও ব্যবহার করা যাবে এই প্রযুক্তি। কিন্তু কিভাবে?
এ জন্যে সাধারণ সুইচ বক্সের পাশে লাগাতে হবে জ্বালানি সাশ্রয়ী সুইচ বক্সটা। ঘরের ফ্যান, এসি, লাইট, টেলিভিশন, কম্পিউটারসহ অন্যসব ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসে এটা ব্যবহার করা যাবে। ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এনার্জি সেভিং সুইচ বক্স সবকিছু নিজেই বন্ধ করে দেবে। যতক্ষণ না আবার ঘরে কেউ ফিরে আসছো ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ক্ষতি না করেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অবস্থায় থাকবে।
এর উদ্ভাবক বাংলাদেশেরই মো. ফিরোজ শিকদার। তিনি বলেন, এই সুইচ বক্সটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট স্থানে সেন্সর সুইচ বসিয়ে দিলে সে নিজেই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। শুধু সময় নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। তাহলে নিদিষ্ট সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলবে আর বন্ধ হবে। একটি যন্ত্র দিয়ে ত্রিশটি লাইট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি লাইট এক যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। ঘরের লাইট, ফ্যান, টেলিভিশনের জন্য এ সুইচ কিনতে প্রায় আটশ’ টাকা প্রয়োজন হবে। রাস্তায় বাতির জন্য টিউব লাইট হলে প্রতিটির দাম ১০০ টাকা এবং সোডিয়াম লাইট হলে ১৫০ টাকা লাগবে। লাইট, ফ্যান, এয়ার কন্ডিশন, কম্পিউটার হলে প্রায় দুই হাজার পাঁচশ’ টাকা লাগবে।