শারীরিকভাবে সক্ষম ও সুস্থ সামুদ্রিক প্রাণীরা কেন সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে ভেসে আসছে, এটি নিয়ে নাসার বিজ্ঞানীদের মাঝে একটি প্রশ্ন জন্মেছে।
তিমি, ডলফিন ও পরপোয়েজ- এই তিন গোত্রের প্রাণীদের একত্রে বলা হয়ে থাকে কেটাশিয়ানস। এই জলজ প্রাণীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল, তারা সমুদ্রের পথে চলার জন্য চৌম্বকক্ষেত্র ব্যবহার করে থাকে। বিজ্ঞানীদের একটি ধারণা, সৌর ঝড়ের সময়ে এই প্রাণীরা তাদের দিক নির্দেশক থেকে কোনো সুস্পষ্ট ধারণা পায় না। এর ফলে কোন দিকে গেলে তাদের জন্য ভালো হবে কিংবা কাছেপিঠে কোনো নিরাপদ আশ্রয়স্থল রয়েছে কি না তা তারা বুঝতে পারে না। বিজ্ঞানীরা তাই সৌর ঝড় ও জলজ এই প্রাণীদের সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায় উঠে আসার কারণের মাঝে যোগসূত্র কি হতে পারে তা বোঝার চেষ্টা করছেন।
দুনিয়া জুড়েই কেটাশিয়ানদের অবস্থা এখন বেশ নাজুক হয়েই রয়েছে বলা যায়। এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে এবং কারণগুলো কি কি তা সম্পর্কে কেটি মুর, নাসার একজন গবেষক বেশ কিছু দিক উল্লেখ করেন। এদের মধ্যে রয়েছে: অবাধে জলজ প্রাণী শিকার, নির্দিষ্ট আইন মেনে না চলা, প্রাকৃতিক নানা সমস্যা ইত্যাদি।
সৌর ঝড় আসলে কি?
সূর্যমণ্ডল থেকে অত্যধিক পরিমাণে তাপরশ্মি বিকিরিত হতে থাকলে তা পৃথিবীর বায়ূমণ্ডলে নানা ধরনের ক্ষতি সাধন করে থাকে। এর ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় এবং তা ঐ অঞ্চলে বিপুল একটি সৌর ঢেউ সৃষ্টি করে। একে বলা হয় সৌর ঝড়।
সৌর ঝড়ের কারণে পৃথিবীর সমুদ্র অঞ্চলে স্বাভাবিক চৌম্বক ক্রিয়া পরিবর্তন হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই কারণেই এই প্রাণীরা তীরে গিয়ে উঠছে ও মানুষের সহজ শিকারে পরিণত হচ্ছে।