বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ডিম্যান্ডডেবল কিছু বিষয়ের মধ্যে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ একটি। বড় বড় সফটওয়্যার, নামি-দামি সব অ্যাপস তৈরি করার জন্য সে জিনিসটা সবার আগে দরকার, তা হলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। কম্পিউটার আবিষ্কারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং প্রোগ্রামারের বিকাশ ঘটেছে।
প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ কি?
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বলতে সাধারণত একটি কম্পিউটার বা কম্পিউটিং ডিভাইস নির্দেশ করার জন্য ব্যাকরণগত নিয়মের সেটকে বুঝায়। আবার এভাবেও বলা যায় যে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ হলো এমন একটি সেট যেখানে কমান্ড, নির্দেশাবলী, এবং অন্যান্য সিনট্যাক্স ব্যবহার করা হয় একটি সফটওয়্যার প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য। যে ল্যাঙ্গুয়েজগুলো ব্যবহার করে প্রোগ্রামাররা কোড লিখেন, তাকে বলা হয় “হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ” আর এই কোড “লো লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ” দিয়ে কম্পাইলড হতে পারে, যা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার দ্বারা সরাসরি স্বীকৃত।
কেন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখা উচিৎ?
শুরুতেই বলা হয়েছে যে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ডিম্যান্ডডেবল একটি বিষয়। আজকাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিং এর প্রয়োজন পড়ে। আবার সফটওয়্যার কিংবা অ্যাপস তৈরির ক্ষেত্রেও দরকার পড়ে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শুধু ইনফরমেশন টেকনোলজিতে এক্সপার্ট করবে তা নয়। এটি আপনার পারসনালিটি তৈরিতেও সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক বর্তমান ইনফরমেশন টেকনোলজির যুগে এ ল্যাংগুয়েজ শেখার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে-
১) আপনি যা কিছু চান তা তৈরি করতে পারেন:
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং আপনাকে আপনার ধারণাগুলো ডিজিটাল করার ক্ষমতা প্রদান করে। আপনার যদি কোনো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানা থাকে, তাহলে আপনি তা দিয়ে ইচ্ছা মতো কিছু একটা তৈরি করতে পারবেন। সেটা হতে পারে অ্যাপস কিংবা যে কোনো সফটওয়্যার।
২) কর্মক্ষমতার প্রসার:
কোডার্স, প্রোগ্রামার্স এবং সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের রয়েছে উচ্চ চাহিদা। বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র রয়েছে প্রোগ্রামিং এর উপর। কমপক্ষে একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা একটি লাভজনক পেশার প্রথম পদক্ষেপ।
৩) প্রোগ্রামিং আপনাকে ভাবতে ও সমস্যার সমাধান করতে শেখায়:
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা আপনাকে একটা বিষয় নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে শেখায় এবং একই সাথে কীভাবে সেই সমস্যার সমাধান করতে হয় তাও শেখা যায়। কোন একটি সমস্যা হলে তা সমাধানে নির্দেশের যথাযথ ক্রম তৈরি করতে হয়। তার ফলে ধাপে ধাপে একটি সমস্যার সমাধান করা শেখা যায়। অর্থাৎ এই ল্যাঙ্গুয়েজ আপনাকে ভাবতে শেখায় এবং একজন প্রবলেম সল্ভিং পারসন হিসাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
৪) একজন প্রোগ্রামার সাথে কথা বলতে সাহায্য করে:
যদি আপনার হাতে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন থাকে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এতে সাপোর্ট করে। কোন অপারেটিং সিস্টেমে এটি কাজ করে এবং কোন অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন এর রয়েছে। আপনি যদি একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জেনে থাকেন, তাহলে খুব সহজেই কোন একটি সমস্যা প্রফেশনালদের জানাতে পারবেন।
৫) ওয়েবসাইটের সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে:
যদি প্রোগ্রামার না হোন অথবা কোনো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ না জানা থাকে, তাহলে আপনি কোনো সাইট ব্যবহার করার সময় সমস্যা দেখা দিলে সে সম্পর্কে খুব একটা সতর্ক হবেন না। কিন্তু কোনো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানার ফলে আপনি খুব সহজেই সাইটটির সমস্যা ধরতে পারবেন এবং কিছুটা হলেও সমাধান করতে পারবেন।
৬) সফটওয়্যারের ধারণাগুলো বোঝা যায়:
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখার মাধ্যমে তা আপনাকে ব্যবহৃত সফটওয়্যারের ধারণাগুলো বুঝতে সাহায্য করবে এবং একই সাথে আরও ভালভাবে অন্য কিছু করার জন্য আপনি যা ব্যবহার করেন তার পেছনে যুক্তি প্রদান করে।
৭) যারা প্রোগ্রামিং করেন, তাদের প্রচুর কাজ করতে হয়। এতে কাজ করার মাসনিক ও দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।