শীতে ঠান্ড লাগেনি কিংবা সর্দি কাশি হয়নি এমন লোক পাওয়া যাবে না বললেই চলে। ঠান্ডা লাগলে অনেকের মাথা ব্যথা শুরু হয়, আবার অনেকের শ্বাসকষ্ট যায় বেড়ে। এই সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে কালোজিরার ওপর নিশ্চিন্তে নির্ভর করা যায়। কারণ কালোজিরা শীতের নানা রোগের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি পথ্য।
ঠান্ডা লেগে মাথা ব্যথা বা মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে অনেকেরই। এই সমস্যার অব্যর্থ সমাধান হল কালোজিরা। একটা কাপড়ের পুটুলিতে কালোজিরা বেঁধে সেটি রোদে শুকাতে দিন। ঘণ্টা খানেক রোদে রাখার পর কালোজিরা ভরা কাপড়ের পুটুলি নাকের কাছে ধরলে বুকে, মাথায় জমে থাকা শ্লেষ্মা তরল হয়ে সহজেই বেরিয়ে যায়। ফলে মাথা ধরা বা মাথা ঝিমঝিমের অস্বস্তিও কেটে যায় দ্রুত। রোদ না পেলে কড়াইতে তেল ছাড়া কিছুটা কালোজিরা গরম করে একইভাবে কাপড়ের পুটুলিতে ভরে নাকের কাছে ধরলে কাজ হবে ম্যাজিকের মতো।
কালোজিরায় রয়েছে আয়রন ও ফসফেট। যা শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। তাই যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে তারা কিন্তু এই শীতে কালোজিরা খেতে ভুলবেন না। প্রতিদিন নিয়ম করে কালোজিরা খেলে দ্রুত রেহাই পাবেন শ্বাসকষ্ট থেকে।
কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের যে কোনো জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালোজিরা অত্যন্ত কার্যকর। সর্দি-কাশির সংক্রমণ দূরে রাখতে অল্প হলেও প্রতিদিন কালোজিরা খান।
শীতকালে পেটে নানা সমস্যা দেখা দেয়। পেটের এই সমস্যা নিরাময়ে কালো জিরা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। কালোজিরার তেল ছাড়া ভেজে ও গুঁড়া করে খাওয়া যায়। আধা কাপ দুধের সঙ্গে এক চিমটে কালোজিরার গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারলে পেটের নানা সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া সম্ভব।
শীতের প্রভাব পড়ে প্রস্রাবেও। তাই প্রস্রাব স্বাভাবিক, নিয়মিত ও পরিষ্কার রাখতে কালোজিরা খেতে পারেন। কালোজিরা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।