Md. Golam Rabbani Dukhu Mia

২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ১২:০০


বিভাগ: উদ্ভাবন

পড়ার সময়: ১ মিনিট


হাইড্রোজেন বোমা কি ?


হাইড্রোজেন বোমার ভেতরে একটি মিনি সাইজের এটমবোমাও থাকে। বিস্ফোরণের আগে বোমার ভেতরে একীভবনের ক্রিয়াটি শুরু করার জন্যই একে ধরে রাখা হয়।মূল বোমাটি বিস্ফোরণের আগেই এটি বিস্ফোরিত হয়। তখন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়।

হাইড্রোজেন বোমা - 

পরমাণু বোমার চেয়েও অনেক অনেকগুণ শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। তার ধ্বংসলীলা অনেক বেশি ভয়াবহ। হাইড্রোজেন বোমা হলো থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা, যার প্রচলিত পরমাণু বোমার চেয়ে অনেক বেশি ধ্বংস ক্ষমতা রয়েছে। একটা ছোট হাইড্রোজেন বোমা একটা বড় শহরকে কয়েক মুহূর্তের মধ্যে একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে পারে।

প্রথম হাইড্রোজেন বোম বিস্ফোরণ ঘটানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ এনিউইটাকে ১৯৫২ সালে। এরপর ১৯৫৩ সালে এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন)। ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং চীনও হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এটি থার্মোনিউকিয়ার বোমা নামেও পরিচিত। নত্রের যে প্রক্রিয়ায় আলো তৈরি হয়, হাইড্রোজেন বোমা ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় কাজ করে।

হাইড্রোজেন বোমায় নিউকিয়াস একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় চারটি হাইড্রোজেন নিউকিয়াসকে সংযুক্ত করে একটি হিলিয়াম নিউক্লিয়াস গঠন করা হয়। আর এই একীভূতকরণের সময় সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড তাপ ।

হাইড্রোজেন বোমার ভেতরে একটি মিনি সাইজের এটমবোমাও থাকে। বিস্ফোরণের আগে বোমার ভেতরে একীভবনের ক্রিয়াটি শুরু করার জন্যই একে ধরে রাখা হয়।মূল বোমাটি বিস্ফোরণের আগেই এটি বিস্ফোরিত হয়। তখন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এই তাপমাত্রাতেই ডয়টেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম মিলে হিলিয়াম নিউক্লিয়াস সৃষ্টির কাজ করে। তাতে তাপমাত্রা বেড়ে যায় আরো বহুগুণ। এই প্রক্রিয়ায় শুধু হিলিয়ামই উৎপন্ন হয় না, সাথে সাথে নিউট্রনও উৎপাদিত হয়। তখন আবার নিউট্রন বোমার মতো কাজ করতে থাকে এবং একইভবন ক্রিয়াকে চালু রাখে। তাই এই বোমা পারমাণবিক বোমা থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।

হাইড্রোজেন বোমায় হাইড্রোজেনের ডিউটারিয়াম ও ট্রাইটিয়াম নামক দু’টি আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়। হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণে লাখ লাখ ডিগ্রি তাপমাত্রার সৃষ্টি হয়।

সূত্র - ইন্টারনেট